ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের শেষ মুহূর্তে প্রচার প্রচারণা চলছে। মোহাম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা নির্বাচনে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগের পাশাপাশি ভোটারদের আকৃষ্ট করতে এলাকার উন্নয়নসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা।
তবে ভোটের মাঠে বিএনপি লুকায়িত থাকলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে মাঠে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ সমর্থিত নেতারা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ভোটের মাঠে প্রচার ও সভা-সমাবেশে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তপ্ত করছেন নির্বাচনি মাঠ। এতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন দলের কর্মীরা। তবে দ্বন্দ্বের আশঙ্কাও বাড়ছে। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন প্রার্থী সরকারি দপ্তরে দিয়েছেন অভিযোগ।
মোহাম্মদপুর-শালিখা উপজেলা মাগুরা ২ আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৩৯, পুরুষ ভোটার: ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪৪, নারী ভোটার: ১ লাখ ৯০ হাজার ০৯২ এবং হিজড়া ভোটার: ৩ জন। শালিখা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন।
চেয়ারম্যান পদে, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার দে, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. রেজাউল ইসলাম, বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন ছাত্রনেতা চঞ্চল মাহমুদ। এবং মাগুরা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে, আ.লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. সজিব আহমেদ ও মো. আশরাফুল ইসলাম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে, উপজেলা মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদিকা মোছা. আমেনা খাতুন (প্রস্তাবিত), মোছা. শিলা জামান, মিসেস রিপনা রহমান, দীপ্তি গাঙ্গুলী, বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, জেসমিন আক্তার, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য নিভার রানী বিশ্বাস।
এছাড়াও মোহাম্মদপুর উপজেলায়, চেয়ারম্যান পদে, আবু আব্দুল্লাহেল কাফি, কাজী আনিসুর রহমান, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ আনিসুল ইসলাম, মোহাম্মদ জাফর সাদিক, মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, মোছা. বেবী নাজনীন, মোহাম্মদ কবিরুজ্জামান, শেখ ফরিদুজ্জামান। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে, মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, মোহাম্মদ ঈদুল শেখ, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মো. মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ সুজন শিকদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে, মুনমুন খাঁন, মোছা. রাহেলা বেগম, মোছা. শিল্পী, মোছা. শামীমা হাসান, স্বপ্না রানী বিশ্বাস।
ওই এলাকার রাজনীতি ও নির্বাচন ঘিরে জনপরিসরে নিরুত্তাপ পরিস্থিতি কিছুটা। কয়েকটি গ্রামের রাজনীতির গতিধর্ম বদলে যাচ্ছে। এ নির্বাচন ঘিরে কয়েকটি এলাকায় বিক্ষিপ্ত বক্তব্যের ফলে সামাজিক অস্থিরতা ও বিভক্তি তীব্র করছে।
টিএইচ